প্রকাশিত: Sun, Dec 4, 2022 3:43 PM
আপডেট: Wed, May 7, 2025 5:15 AM

মিরাজ-মুস্তাফিজের বীরত্বে ভারতের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের অবিশ্বাস্য জয়

এল আর বাদল: শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে মাত্র ১ উইকেটে শক্তিশালী ভারতকে হারিয়ে দিলো বাংলাদেশ। এদিন একটি রেকর্ডও গড়েছে টাইগাররা। আন্তর্জাতিক ওয়ানডেতে জেতা ম্যাচে শেষ উইকেট জুটির রেকর্ড ৬৪ রানের। ১৯৭৫ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে ওয়েস্ট ইন্ডিজের শেষ দুই ব্যাটসম্যান অ্যান্ডি রবার্টস এবং মুরার দখলে ছিলো রেকর্ডটি। ভারতের বিপক্ষে রোববার শেষ উইকেটে  শেষ উইকেটে মেহেদী হাসান মিরাজ ও মুস্তাফিজুর রহমানের বীরত্বে শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ।

এদিন বাংলাদেশ ম্যাচ জিততে শেষ উইকেট জুটিতে তুলেছে ৫১ রান। এটা অবশ্য শীর্ষ তিনেও নেই। তবে বাংলাদেশের ওয়ানডে ক্রিকেটের ইতিহাসে এটাই রেকর্ড। এক কথায় দারুণ এক জয়ের সাক্ষী হলো মিরপুর শের-ই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম। 

আগে ব্যাট করে সাকিব আল হাসান ও এবাদত হোসেনের তাÐবে মাত্র ১৮৬ রানে গুটিয়ে যায় ভারত। ৫ উইকেট শিকার করেন সাকিব। এবাদত নেন ৪ উইকেট।

জবাব দিতে নেমে লিটন দাস ও সাকিব আল হাসানের ব্যাটে স্বপ্ন দেখা বাংলাদেশ হঠাৎ পথ হারায়। তবে শেষ উইকেটে মিরাজ-মুস্তাফিজ জুটি অবিশ্বাস্য জয় এনে দেয় টাইগারদের। দুজনের  ৫৪ রানের জুটিতে বধ হয় ভারত। জয়ের বন্দরে এসে তরী ডুবানো বাংলাদেশের এ যেন উল্টোযাত্রা দেখা গেলো।

১৮৭ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ইনিংস ওপেন করতে নেমে শুরুতেই উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ভারতকে ব্রেক থ্রæ এনে দেন দীপক চাহার। ওপেনার নাজমুল হোসেন শান্তকে রানের খাতা খুলতে দেননি তিনি। প্রথম বলেই ¯িøপে রোহিত শর্মার হাতে ক্যাচ তুলে দেন শান্ত।

দলীয় ২৬ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারায় টাইগাররা। সিরাজের বলে ওয়াশিংটন সুন্দরের হাতে ধরা দেন বিজয়। আগের ওভারে দীপক চাহারের বলে এলবিডবিøউ হয়েছিলেন, রিভিউ নিয়ে বেঁচে যান এনামুল। বল যাচ্ছিল লেগ স্টাম্পের বাইরে দিয়ে। পরের ওভারে আর বাঁচলেন না। মোহাম্মদ সিরাজকে ফ্লিক করতে গিয়ে শর্ট মিড উইকেটে ক্যাচ দিয়েছেন তিনি। প্যাভিলিয়নে ফেরার আগে ২৯ বলে ১৪ রান সংগ্রহ করেন বিজয়। মারেন ২টি চার।

দ্রæত দুই উইকেট হারানো বাংলাদেশ জয়ের স্বপ্ন দেখছিল লিটন দাস ও সাকিব আল হাসানের ব্যাটে। ক্রিজে স্বাচ্ছন্দে ব্যাট করছিলেন দুজনে। যতক্ষণ ছিলেন মনে হচ্ছিল, সহজ জয়ই পাবে টাইগাররা। কিন্তু দলীয় ৭৪ রানে ওয়াশিংটন সুন্দরের বলে রাহুলের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে বিদায় নেন লিটন। তার ৬৩ বলে খেলা ৪১ রানের ইনিংসে আছে ৩টি চার ও ১টি ছয়ের মার।

লিটনের বিদায়ের পর ভালোই খেলছিলেন সাকিব। ম্যাচ রেখেছিলেন বাংলাদেশের নিয়ন্ত্রণেই। দলীয় ৯৫ রানে বিদায় নেন সাকিবও। ৩৮ বলে ২৯ রান করে বিদায় নেন তিনি। তার ইনিংসে ছিল তিনটি বাউন্ডারি।

এরপর উইকেটে এসে শুরু থেকেই নড়বড়ে রিয়াদ-মুশফিক। টেস্ট মেজাজে ব্যাট করে চাপ বাড়াচ্ছিলেন দলের ওপর। ২৩ তম ওভার থেকে ৩৩তম ওভার পর্যন্ত কোনো বাউন্ডারি মারতে পারেনি তারা। টানা দুই ওভারে বিদায় নেন দুজনই। শার্দুল ঠাকুরের বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়ে আউট হন টেস্ট মেজাজে ব্যাট করা রিয়াদ। ৩৫ বল খেলে ১৪ রান করেছেন সাইলেন্ট কিলার রিয়াদ। মারতে পারেননি কোনো বাউন্ডারি। সম্পাদনা: সালেহ্ বিপ্লব